বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ১০০ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজা উপত্যকায় একদিনে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই প্রাণ হারান ৬১ জন। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত হন আরও ৩৭ জন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হামলা আরো তীব্র হয়েছে। যেখানে শুধু গাজা সিটিতেই ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় আল জাজিরা। চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা গাজার উত্তরাঞ্চলে তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুধু গাজা সিটিতেই এদিন প্রাণ হারান ৬১ জন।

দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাদেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
গাজা সিটির উত্তরে ত্রাণ বিতরণ নিশ্চিত করতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, রাফাহের উত্তরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান আরও ১৬ জন। এছাড়া গাজার জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স সেবার হিসাবে, উত্তরাঞ্চলে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা জনতার ওপর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১১৩ জন। সব মিলিয়ে খাদ্যের সন্ধানে থাকা ৩৭ জন বুধবারই নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি অবরোধজনিত ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ক্ষুধা-সংক্রান্ত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৩৫ জন, এর মধ্যে ১০৬ জন শিশু।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এসব মৃত্যুকে গাজায় ‘শিশু ও শৈশবের ওপর যুদ্ধের সাম্প্রতিকতম দৃষ্টান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, এগুলোর পাশাপাশি বোমা হামলায় নিহত বা আহত ৪০ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে। আরও আছে অন্তত ১৭ হাজার এতিম বা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শিশু, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং গভীর মানসিক আঘাতে ভুগছে প্রায় ১০ লাখ শিশু।’

তার ভাষায়, শিশু মানে শিশু। তারা যেখানেই থাকুক—গাজাসহ—শিশুদের হত্যা বা তাদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় কারও নীরব থাকা উচিত নয়।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION